রবিবার, ৩ জুন, ২০১২

সার্চ

‘হল্ট’ বলে হুঙ্কার ছেড়েই যম সামনে খাড়া।

লোমস কর্কশ হাত ঢুকে গেলো প্যান্টের পকেটে...
কিছু পয়সা দুটি ফুল সুতোর বান্ডিল
            অতঃপর
ভারী হাতে কোমর জরীপ। কিছু নেই।

কুছ নেহি ? বোমাওমা? সাচ্ সাচ্ বাতাও, নেহিত...

         দেখুন দেখুন
নিজেই নিজের হাতে শার্টের প্যান্টের সব পকেট ওল্টায়
        বলে দেখুন দেখুন।

 ছেলেটির পাতলা ঠোঁটে হাসির প্রলেপ না কি?
চাপা কিছু কৌতুক ? আহারে
সরল কিশোর,
তার হয়তবা চেনা নেই
        মৃত্যুর চেহারা!

‘যাও’ বলে আবার গর্জন আর ছেলেটি অটল
ধীর পায়ে চলে গেলো
    আপন গন্তব্যে
তার গন্তব্য কোথায় ?
তার গন্তব্য কোথায় ? তার ভয় নেই ?

ভয় নেই। দুর্জনের হাত
বারবার পকেট ওল্টাবে
        রাখবে কোমরে দানব থাবা অতঃপর
অক্ষম আক্রোশে গর্জাবে এবং
        ফিরে যাবে দুর্বোধ্য তিমিরে।
        ফিরে যাবে
 কেননা ছেলেটি
 সেই কিশোর সৈনিক
 সেই দেবশ্রী কিশোর
রাখেনি তেমন কোনো অস্ত্র সঙ্গে। তার
বুকের গভীরে
মহত্তম সেই অস্ত্র যার
দানবের স্পর্শযোগ্য অবয়ব নেই কোনো
ধ্বনি যার অহরহ প্রাণে তার বাজায় দুন্দুভি:
স্বাধীনতা স্বাধীনতা স্বাধীনতা!

আর সেই প্রিয়তম মহত্তম অস্ত্র বুকে
লুকিয়ে সন্তর্পণে ধীর পায়ে
অনন্য কিশোর তার
        সঠিক গন্তব্যে যায় হেঁটে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন