রবিবার, ৩ জুন, ২০১২

সে নেই

এখনো ভোরের রোদে সোনা ঝরে-
কুড়িয়ে নেবার
কিশোর ছেলেটি নেই।

শীতের সকালে
নিঃশেষ শিউলির ডাল,
বোশেখে বকুল
নাম ধরে ডাক দেয় ;
সাড়া নেই।
যার
নিজের খুশীতে রাত ভোর হতো
কাকভোরে তার
এখন ভাঙে না ঘুম।
সকালের সোনা
অকারণে ছুঁয়ে ছেনে সাগরজোয়ার
জাগাবার কেউ নেই,
কেউ নেই তাকিয়ে দেখার
চোখ মেলে।
এখনো ভোরের রোদে
দুটি কি তিনটি হরিয়াল
ঘুম ঝাড়ে শিরিষের ডালে,
সুর তোলে,
সে সুর শোনার কেউ নেই
জেগে নেই কিশোর ছেলেটি।
এখন ছেলেটি
সারাদিন ভয়ের ভাবনার
পথে হেঁটে ;
এখানে-ওখানে হাত পেতে
মিনতি জানায় :
গান নাও
সুর নাও
ফুল পাখি চাঁদ নাও
সমস্ত ভোরের সোনা এই নাও।
শুধু দাও-
একটু নির্ভর
আর
একটু ভরসা দাও মনে ;
একটু আশ্বাস দাও বেঁচে থাকবার
মাথা রাখবার ঠাঁই দাও।

সারাদিন পথে হেঁটে
সারাদিন মিনতি জানিয়ে
 শুধু তার মিনতির
প্রতিধ্বনি কুড়িয়ে কুড়িয়ে
দিন গেলে ;
কখন পথের পাশে ঘুমায় ছেলেটি।
পাশে তার
‘তিরিশ বৎসর কাল’
ক্লান্ত হয়ে ঘুমায় এখন।
কিশোর-চোখের সেই দৃষ্টির লাবণি
অসহ্য ঘুমের স্রোতে
ভেসে যায়। পৃথিবী যদিও
        চিরযৌবনা তবুও
সেই ভোরে
তাকিয়ে দেখার
          কেউ নেই
         জেগে নেই-
যদিও এখনো
ফুল ফোটে পাখি গায়
        আর
এখনো ভোরের রোদে সোনা ঝরে;
ঝরেছে যেমন
হাজার বছর ধ'রে পৃথিবীতে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন