রবিবার, ৩ জুন, ২০১২

সে আসে

টলমল পদভারে সে আসে সে আসে।
বিপুল দানবদেহ
বজ্রনাদ!
মাটি কাঁপে
মাটির মানুষ কাঁপে আতঙ্কে দু’ধারে।
তার মুখে সম্রাটের হাসি।

সম্রাটের হাসি তার
এবং নির্ভীক
পদপাতে ঘাস ফুল সরোবর বাগান নিশ্চিহ্ন, তার
দৃষ্টি উর্ধ্বে;
মানব-মনীষা
সে তার দৃষ্টির তাপে উজ্জীবিত করে যায় যেন।

এবং জীবন্মৃত মানুষের ভীড়ে
আতঙ্কে ধ্বনি ওঠে যখন, সে হাসে
সম্রাটের করুণায় এবং দু’হাতে
কর্কশ দু’হাতে তার অন্নের আশ্বাস
আর বরাভয় ছড়িয়ে ছড়িয়ে
পথের দু’ধারে তার রেখে যায় অপার বিস্ময়,
জয়ধ্বনি।

কি তার বিপুল দেহ
ইটের উপরে ইট
সূর্যের সমস্ত মুখ ঢেকে যায়
লোহায়-বিদ্যুতে প্রস্তরখিলানে গড়া
এবং সে আসে
নির্ভীক নিশ্চিত পায়ে
নিশ্চিত আশ্বাস
জয় তার।

দেশ থেকে দেশান্তরে গতি তার অব্যাহত সম্রাটের মত।
পৃথিবীর মানবসমাজ
আজ তার শাসনের অনুগত
        কিঙ্করের মত
নিত্য তাকে অনুসরণেই
        সুখের সন্ধান করে-
এবং একজন পলাতক এই মত্ত ভীড়ের পশ্চাতে
খুঁজে ফেরে হারানো বাগান
সরোবর ঘাস ফুল।
ক্ষুধার অন্নের বিনিময়ে
এই সব নিঃশেষে হারাতে নয় রাজি
তাই জেনে
কেউ মূর্খ কেউ বলে উন্মাদ। সে বলে:
এই মত্ত গতির কোথায় শেষ জানা নেই,
জানে না সম্রাট নিজে
আর তার অগণিত প্রজাদের জানা নেই।
তাই
চায় না বিচ্ছিন্ন হতে মাটি থেকে
সে চায় নতুন কোনো সন্ধি। তার
শর্ত রচনার ভার কে নেবে জানে না,
সে চায় নতুন কোনো আশ্বাসের বাণী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন